মো. মোস্তাফিজুর রহমান রিপন, ঝালকাঠি প্রতিনিধি:
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার ৩নং কুলকাঠি ইউনিয়নে টিসিবির কার্ডধারীদের কাছে ভেজা ও পচা চাল বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে ডিলারের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, প্রতি কার্ডে ৫ কেজি করে ভেজা চাল কিনে বাড়িতে নিয়ে শুকানোর পর ওজনে ৪ কেজি চাল পেয়েছেন তারা।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কুলকাঠি ইউনিয়নে বর্তমানে এক হাজার ৫৯৪ জন টিসিবির কার্ডধারী কার্যকর রয়েছেন। স্বত্বাধিকারী জিএম মোর্শেদ সরদার এন্টারপ্রাইজ নামক লাইসেন্সে মাসুদ জোমাদ্দার ও আব্দুল আলিম নামের দুই ব্যক্তি ওই ইউনিয়নে টিসিবি পণ্য বিক্রির সাব ডিলার হিসাবে কাজ করেন।
গত শনিবার (২৮ জুন) টিসিবি পণ্য নিয়ে দুটি ট্রলি কুলকাঠি ইউনিয়ন পরিষদে যাওয়ার পথে আখরপাড়া এলাকার একটি ব্রিজ পার হওয়ার সময় একটি ট্রলি উল্টে খালে পড়ে যায়। উক্ত ট্রলিতে মোট ১৬৫ বস্তা চাল ছিল। পরে সেই ভেজা চাল খাল থেকে তুলে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসা হয় এবং সেখানে শুকিয়ে কার্ডধারীদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
কার্ডধারীদের অভিযোগ, তারা ৫ কেজি করে চাল কিনে বাসায় নিয়ে শুকানোর পর ওজনে পান মাত্র ৪ কেজি। সেই সঙ্গে চালের গন্ধ এবং পচা অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তারা।
পাওতা গ্রামের টিসিবি পণ্য গ্রাহক আবুল কালাম বলেন, “চালগুলো ছিল ভেজা, পচা ও দুর্গন্ধযুক্ত।" খাওয়ার অনুপযোগী। হাঁস-মুরগিকে খাওয়ানোর উপযুক্ত হলেও মানুষকে এ চাল দেওয়া অনৈতিক।”
কুলকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. আরিফ মল্লিক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “আমি ডিলারদের ওই ভেজা চাল বিক্রি করতে নিষেধ করেছিলাম। কিন্তু তারা কথা শোনেনি। দুইদিন ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষে চাল রেখে তা শুকিয়ে বিক্রি করা হয়েছে।”
এ বিষয়ে সাব-ডিলার আব্দুল আলিম বলেন, “আমরা চাল গোডাউনে ফেরত পাঠাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ইউএনও ও খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা বলেছিলেন, চাল ফেরত দিলে নষ্ট হয়ে যাবে। তাদের অনুমতিতেই চাল বিক্রি করা হয়েছে।”
নলছিটির ইউএনও মো. নজরুল ইসলাম বলেন, “বিষয়টি আমি শুনেছি। একটি ট্রলি খালে পড়েছে ঠিকই। তবে চাল ভালো থাকলে সমস্যা হওয়ার কথা না। বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এমআই