ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আগামী সপ্তাহে বৈঠকে বসছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তার আগে পশ্চিম তীর দখল এবং সেখানকার ইসরায়েলি আইন প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন নেতানিয়াহুর দল লিকুদ পার্টির মন্ত্রীরা।
বুধবার (২ জুলাই) ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার অন্তত ১৫ জন মন্ত্রী এবং পার্লামেন্ট স্পিকার আমির ওহানা একটি যৌথ পিটিশনে এই দাবি জানান। তারা চান, ইসরায়েলি সংসদ নেসেটের চলতি অধিবেশন শেষ হওয়ার আগেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হোক।
পিটিশনে তারা লিখেছেন, ‘ইহুদি অঞ্চল ইউদিয়া ও শোমরনের (বাইবেলীয় নাম) ওপর এখনই ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব ও আইন প্রয়োগ করতে হবে।’ এই অঞ্চল ১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধে দখল করেছিল ইসরায়েল।
মন্ত্রীরা দাবি করেছেন, ইরান ও গাজা সীমান্তে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক সাফল্য এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত সমর্থনকে এখন কাজে লাগানো দরকার।
তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলা প্রমাণ করে দিয়েছে, ইহুদি বসতি ও সম্ভাব্য ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের ধারণা ইসরায়েলের জন্য অস্তিত্বগত হুমকি।
পিটিশনটির বিষয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠ মন্ত্রী ও কৌশলবিষয়ক মন্ত্রী রন ডারমার এতে স্বাক্ষর করেননি। তিনি বর্তমানে ওয়াশিংটনে রয়েছেন ইরান ও গাজা ইস্যুতে আলোচনার জন্য।
আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন
পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতিগুলোর সম্প্রসারণ ও আইন প্রয়োগ আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হয়। অধিকাংশ দেশ মনে করে, এই বসতিগুলো ফিলিস্তিনিদের জন্য সমন্বিত স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের পথ আরও কঠিন করে তুলছে।
ইসরায়েলের এই পদক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রতিষ্ঠা উদ্যোগের পরিপন্থি এবং এর মাধ্যমে দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান কার্যত অসম্ভব হয়ে উঠছে।
ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনে ইসরায়েলি উগ্রপন্থিদের সাহস বেড়েছে
যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্প ক্ষমতায় ফেরায় ইসরায়েলের কট্টরপন্থি রাজনীতিকেরা আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছেন। ট্রাম্প সম্প্রতি গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের ‘স্থানান্তর’ করার প্রস্তাব দেন, যা আরব বিশ্বসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়।
নেতানিয়াহু ও ট্রাম্পের আসন্ন বৈঠকে গাজায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি বিনিময় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
একে