আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইসরায়েলি বাহিনীর টানা বিমান হামলায় গাজা উপত্যকায় আরও অন্তত ৮২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে শুধু গাজা শহরেই প্রাণ হারিয়েছেন ৩৯ জন। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আশা প্রকাশ করেছেন, চলতি সপ্তাহেই ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হতে পারে।
রোববার ভোররাতে গাজা শহরের শেখ রাদওয়ান এলাকায় ইসরায়েলি হামলার পর সেখানে উপস্থিত মানুষজন “প্রলয়ঙ্কর” দৃশ্যের কথা বর্ণনা করেন। তারা জানান, ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে মরদেহের খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করা হচ্ছে, কেউ কেউ জীবিতদের খুঁজে পেতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন।
গাজা শহরের এক বাসিন্দা এবং হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া মাহমুদ আল-শেখ সালামা বলেন, “রাত ২টার দিকে (গ্রিনিচ মান সময় রাত ১১টা) আমরা গভীর ঘুমে ছিলাম। হঠাৎ এক বিকট বিস্ফোরণের শব্দ, তারপর আরেকটি। ছুটে গিয়ে দেখি পুরো ভবন ধসে পড়েছে। সেখানে অন্তত চারটি পরিবার ছিল।”
তিনি আরও জানান, “আমরা ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে জীবিতদের উদ্ধারের চেষ্টা করি। প্রায় তিন ঘণ্টা চেষ্টার পর দুইজনকে জীবিত বের করতে সক্ষম হই। বাকিরা শহীদ হয়েছেন—তাদের মরদেহ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে।”
আল জাজিরার সংবাদদাতা হানি মাহমুদ গাজা শহর থেকে জানান, ইসরায়েলের চলমান অভিযানটি যুদ্ধের শুরু দিককার নারকীয় সময়ের কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে।
“মাত্র দুই ঘণ্টার ব্যবধানে আমরা গাজা উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে অন্তত সাতটি বিমান হামলার খবর পেয়েছি,” বলেন তিনি।
তিনি আরও জানান, গাজার কেন্দ্রীয় দেইর আল-বালাহ অঞ্চলে একটি স্থানীয় কমিউনিটি কিচেনেও বোমা হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে অন্তত তিনজন নিহত হন, যার মধ্যে রান্নাঘরটির প্রধান পরিচালনাকারীও রয়েছেন।
একে