মোহাম্মদ মুরাদ হোসেন:
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) মেডিকেল সেন্টারের সংস্কারের এবং অনিয়মের বিরুদ্ধে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি এবং মানববন্ধন করেছে ২৪ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই মেডিকেল সেন্টার থেকে নামমাত্র এবং দায়সারাভাবে চিকিৎসাসেবা পেয়ে আসছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। অনেকসময় ছোটখাটো অনেক সমস্যা নিয়ে গেলে তাকেও রেফার করা হয় সদর হাসপাতাল কিংবা দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। প্রায় বারো হাজার শিক্ষার্থীর চিকিৎসার জন্য জনবলের অভাবও আছে মেডিকেল সেন্টারটিতে। এছাড়াও জরুরি চিকিৎসাসেবা দিতে অ্যাম্বুলেন্স দুইটি থাকলেও তারমধ্যে একটি নষ্ট হয়ে আছে প্রায় আড়াই বছর ধরে। ফলে একটি অ্যাম্বুলেন্স দিয়েই চলছে রোগী পরিবহনের কাজ। এসব সমস্যার যৌক্তিক সমাধান এবং যুগোপযোগী মেডিকেল সেন্টার তৈরির জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবি জানাতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধন করেন তারা। মানববন্ধন থেকে মেডিকেল সেন্টার সংস্কারে ৬ দফা পেশ করা হয় শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে-
১.মেডিকেলে প্রতিদিন অন্তত ২-৩ জন এমবিবিএস ডাক্তার এবং ৪-৫ জন নার্স নির্দিষ্ট সময়ে পরপর কর্তব্যরত থাকতে হবে।
২. ছুটির দিনেও পর্যাপ্ত চিকিৎসক এবং নার্স থাকতে হবে।
৩.রোগী পরিবহনের জন্য কমপক্ষে তিনটি সচল অ্যাম্বুলেন্স এর ব্যবস্থা করতে হবে।
৪.ডিজিটাল এক্স-রে মেশিনসহ অন্যন্য আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। ৫.প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং মেডিকেল সামগ্রী শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে সরবরাহ করতে হবে।
৬.২৪ ঘন্টা চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে হবে।
এসময় মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার জন্য এসেছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত আমাদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার জন্য মেডিকেল সেন্টারকে যুগোপযোগী করে তোলা। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই মেডিকেল সেন্টার থেকে যথাযথ চিকিৎসাসেবা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পাচ্ছেনা। মেডিকেল সেন্টারটির দ্রুত সংস্কার এখন সময়ের দাবি।
২৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী রিদওয়ান উল্লাহ খান বলেন, মেডিকেল সেন্টারে আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং প্রয়োজনীয় জনবলসহ ডাক্তার নিয়োগ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কোনো ভ্রুক্ষেপ নাই। অথচ তার দায়িত্ব শিক্ষার্থীর চিকিৎসা সেবা উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা। কিন্তু আমরা স্পষ্ট তো লক্ষ্য করেছি এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি কিংবা রেজিস্টার এর কোন ধরনের মাথাব্যথা নাই। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।