নিজস্ব প্রতিবেদক:
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পথসভায় ভয়াবহ হামলার ঘটনা নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য ছিল, কিন্তু সেখানকার পরিস্থিতি যে এক খারাপ হবে, সে তথ্য ছিল না।’
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এই কথা বলেন।
এসময় তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘গোপালগঞ্জের ঘটনায় যারা অন্যায় করেছে, তাদের সবাইকে গ্রেফতার করা হবে, কাউকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।’
এনসিপির নেতাদের অভিযোগ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শৃঙ্খলা ধরে রাখতে পারেনি, সে বিষয়টি আপনি কীভাবে দেখছেন? এই প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এ ব্যাপারে আপনিও তো অনেক কথা বলতে পারেন, যার যে বক্তব্য সে সেটা দেবে।’
ভবিষ্যতে সরকার কী করবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা তো সেখানে কালকেও নির্দেশনা দিয়েছি। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে, তার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হবে। এখন সে জায়গার পরিস্থিতি স্বাভাবিক।’
বুধবার (১৬ জুলাই) গোপালগঞ্জে ছিল এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচি। এদিন দুপুর ২টার পর পৌর পার্কের উন্মুক্ত মঞ্চে কর্মসূচি শুরু হয়। সভা শুরুর আগে সমাবেশের মঞ্চে এক দফা হামলা চালায় সেখানকার আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ।
এই হামলার পরও সমাবেশে যোগ দেন এনসিপির নেতা। এরপর সমাবেশ শেষ হলে ফের তাদের ওপর হামলা চালায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ। ভাঙচুর করা হয় নতুন এ দলটির গাড়িবহর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ এগিয়ে গেলে তাদের উপরও হামলা হয়।
পরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আশ্রয় নেন এনসিপির নেতারা। কিছু সময় পর সেনাবাহিনীর পাহারায় গোপালগঞ্জ থেকে খুলনার দিকে যাত্রা করেন তারা।
এই ঘটনার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গোপালগঞ্জ শহরে চাল প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়। এছাড়া সরকার থেকে ঘোষণা করা হয় ২২ ঘণ্টার কারফিউ। বুধবার রাত ৮টা থেকে শুরু হয়েছে সেই কারফিউ, চলবে আজ বিকেল ৬টা পর্যন্ত।
এমআই