মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি
প্রতিদিনের মতো সেদিনও স্বচ্ছ আকাশের কোন এক কোনে হালকা মেঘ জমেছিল
বাতাসে ছিল শুদ্ধ বিশুদ্ধ ধোঁয়া
মাটিতে ছিল ধুলো ময়লা
এসবই ছিল নাগরিক জীবনের নিত্য অনুষঙ্গ।
হঠাৎ বজ্রপাতের মতো ধরণীতে এসে আছড়ে পড়লো মৃত্যুর ফাঁদ
মুহূর্তের মধ্যে ধুলো ময়লার সাথে নানা রঙের পুতুল গুলো
উড়াউড়ি করতে করতে কেউ কেউ নিস্তব্ধ হয়ে গেল।
আবার কেউ কেউ আর্ত চিৎকারে একটু বাঁচার আশায় স্বজন কিংবা বন্ধুকে ডেকেছিল।
তোমাদের নির্মল হাসির ধ্বনি
চিরতরে হারিয়ে গেল এক নিঃশব্দ নীলে।
তাদের স্কুল ব্যাগে বই ছিল
চোখের কোনে ভবিষ্যতের রঙিন স্বপ্ন ছিল
কে জানত সেদিনের দেখা স্বপ্নটিই হবে তার জীবনের শেষ স্বপ্ন।
মা বাবা অসীম আশা নিয়ে সন্তানের জন্য অপেক্ষমাণ।
কিন্তু হায়!
এ কেমন মৃত্যু!
বাবা মায়ের চোখে আজ শুধু শূন্য দৃষ্টি
আকাশের দিকে চেয়ে চেয়ে খুঁজে বেড়ায়
তার এই পৃথিবীর একমাত্র অবলম্বন
তার ফুটন্ত এক একটা গোলাপ, জবা, রজনিগন্ধা কিংবা বেলিকে।
সমস্ত শহর প্রকম্পিত
মানুষের আহাজারি
উদ্ধারকর্মীদের ছোটাছুটি
কিন্তু ততক্ষণে অনেকের প্রাণের নেই কোন হৃদ স্পন্দন।
নিস্তব্ধতা নামে নিস্তেজ বিকেলে
আর কত শিশু এভাবে হারাবে প্রাণ?
আর কত মা কত বাবা
সন্তানের মুখে মিস্টি ডাক শুনতে পাবে না?
হে সমাজ!
হে রাষ্ট্র! চুপ করে থেকো না।
জবাব দাও
আর কত শত প্রাণের আর্তনাদে কেঁপে উঠবে তোমার পৃথিবী
জেগে উঠবে সচেতনতা আর মানবতা।?