মুহা: জিললুর রহমান, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরা-৪ আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত ইসির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শ্যামনগরে মানববন্ধন করেছে জামায়াত। শনিবার (২ আগস্ট) শ্যামনগর উপজেলা সদরে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। এতে উপজেলা জামায়াতের নেতাকর্মীরাসহ স্থানীয় জনগণ অংশ নেন।
মানববন্ধনকারীরা অবিলম্বে সাতক্ষীরা-৪ আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত ইসির সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছে। তাদের দাবি, পূর্বের সাতক্ষীরার পাঁচটি আসন ফিরিয়ে শুধু শ্যামনগরকে নিয়ে একটি আসন ঘোষণা করা হোক। অন্যথায় ইতিপূর্বে শ্যামনগর ও কালিগঞ্জ আংশিক এলাকা নিয়ে যে সাতক্ষীরা-৪ আসন ছিল সেটি ফিরিয়ে দেওয়া হোক।
শ্যামনগর উপজেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক মাও. গোলাম মোস্তফার সঞ্চালনায় ও উপজেলা জামায়াতের আমির মাও. আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সাবেক সংসদ সদস্য গাজী নজরুল ইসলাম, উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা মহিউদ্দীন আহমেদ, সহকারী সেক্রেটারি মাস্টার রেজাউল করিম, মাও. আমিনুর রহমান প্রমুখ।
এর আগে গত ৩০ জুলাই বিকালে ইসি সীমান্ত পুনর্বিন্যাসের খসড়া প্রকাশের পরপরই বিক্ষোভে ফেটে পড়ে মানুষ। পরে ঐদিন রাতেই বিক্ষোভ মিছিল বের করে স্থানীয়রা। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
প্রকাশিত নির্বাচন কমিশনের খসড়া অনুযায়ী, সাতক্ষীরার চারটি আসনের মধ্যে দুইটা আসনের সীমানা পরিবর্তন করা হচ্ছে। এ দুটি হলো সাতক্ষীরা-৩ ও সাতক্ষীরা-৪। পুনর্বিন্যাস করার আগে সাতক্ষীরা-৪ আসনটি শ্যামনগর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন, ১টি পৌরসভা ও পাশের কালীগঞ্জ উপজেলার একাংশের ৮টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ছিল। এবার পুনর্বিন্যাস করে শ্যামনগর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন, ১টি পৌরসভা ও আশাশুনি উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন নিয়ে সাতক্ষীরা-৪ আসন গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। একইভাবে কালিগঞ্জ ও দেবহাটা উপজেলা নিয়ে সাতক্ষীরা-৩ আসনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শ্যামনগর দেশের সবচেয়ে বড় উপজেলা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ একটি জনপদ। একইভাবে আশাশুনিও প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ একটি উপজেলা। দুটি উপজেলার ভৌগোলিক অবস্থান বা সড়ক যোগােযাগ ব্যবস্থা মোটেও সুবিধাজনক অবস্থানে নেই। উপজেলা দুটির মানুষও কখন এমন আসন বিন্যাসের কথা চিন্তা করেনি।
এমআই