মো: রাব্বি হাসান, ববি:
রিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) ক্যাম্পাসে ৩ দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। দফাগুলো হলো - অবকাঠামোগত উন্নয়ন, পরিবহন খাতের সমস্যা দূরীকরণ ও ক্যাম্পাসের আয়তন বৃদ্ধি করা।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোর থেকে বিভিন্ন স্লোগানে মিছিল নিয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিন করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিল শেষে বিশ্বিবদ্যালয়ের মেইন গেইটের সামনে ঢাকা - কুয়াকাটা মহাসড়কে যান চলাচল স্বভাবিক রেখে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করেন ববি শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মোশাররফ হোসেন বলেন,"আমরা ৫ তারিখের আগের বাংলাদেশ দেখেছি যেখানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মত, যেমন প্রতিটা গ্রামে প্রতিটা ওয়ার্ডে প্রাথমিক বিদ্যালয় গড়ে তোলা হয় একইভাবে প্রতিটা জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় বানানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়, এটাকে আমরা সাধুবাদ জানিয়েছিলাম। ঠিক একইভাবে প্রতিটি জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় বানিয়ে শিক্ষার মানকে ধ্বংস করার যে পায়তারা চলছে তার হিসাব আমরা এখন মিলাতে পারছি। এটা মান উন্নয়ন নয় বরং নিজের স্বার্থ হাসিল অর্থাৎ উৎপাতের একটা পথ তেরি করা হয়েছিল। বিভিন্ন সময়ে বাজেট দিয়ে ব্যক্তি স্বার্থ উদ্ধারই ছিল এর প্রধান উদ্দেশ্য।"
এই শিক্ষার্থী আরও বলেন,"আমরা ভেবেছিলাম পাঁচ তারিখ পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের যে চাওয়া পাওয়া তা বুঝিয়ে দেওয়া হবে কিন্তু এই ইন্টেরিম গভর্নমেন্ট এসে হাতে গোনা কয়েকটা বিশ্ববিদ্যালয় যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাদে বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বিশ্ববিদ্যালয়ই মনে করছে না। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় একটি বিভাগীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ১৫ বছর হয়ে গেলেও এর অবকাঠামোগত কোন উন্নয়ন ঘটেনি।
আপনারা জানেন ইতিমধ্যে আমাদের শিক্ষার্থীরা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও তাদের যোগ্যতার প্রমাণ রেখে চলেছেন। আমরা বেশি কিছু চাইনা অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে যে সুবিধা দেওয়া হয় আমাদেরকেও সেই সুবিধা গুলো দেয়া হোক যাতে আমাদের শিক্ষার্থীরা বিশ্ব অঙ্গনে পা রাখতে পারেন। "
আরেক শিক্ষার্থী ও জুলাই অভ্যুত্থানের সক্রিয় মুখ ভূমিকা সরকার বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানে এক দল শিক্ষার্থীর লড়াকু ভূমিকার কারণে প্রথম স্বাধীন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সারা দেশে পথ দেখাতে সক্ষম হয়েছিল। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকটের কথ বলতে গেলে শেষ হবে না। আমাদের দাবিগুলোকে এখনো আমরা প্রসাশনের দৃষ্টিগোচর করতে পারিনি। আমরা কয়েকজন শিক্ষার্থী শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে যাচ্ছি। আমরা আমাদের এই আন্দোলনের মাধ্যমে কতৃপক্ষকে সঠিক বার্তাটুকু দিতে চাই। যদি আমাদের দাবি গুলো মেনে নেওয়া না হয় তাহলে আমরা কঠিনতর অবস্থান নিতে এবং এই বিদ্যাপিঠের (ববি) দাবি আদায় করে নিতে বাধ্য হবো। "
শিক্ষার্থীদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে এবং নতুন প্রকল্প অনুমোদনের উদ্যোগ নিতে হবে। অন্যথায় তারা আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন।
এমআই