দুলাল বিশ্বাস, প্রতিনিধি গোপালগঞ্জ:
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার উলপুর-নিজড়া সড়কের মরা গাছ এখন মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও নজরদারি না থাকায় প্রায় দুই বছর ধরে সড়কটিতে গাছ মরে, ডাল ভেঙ্গে পড়ে প্রতিনিয়ত পথচারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার উলপুর-নিজড়া হয়ে কাশিয়ানী উপজেলার রামদিয়া বাজারে মিশেছে। প্রতিদিন সড়ক দিয়ে হাজার হাজার মানুষ ও শত শত ছোট বড় যানবাহন চলাচল করে।
ওই সড়কে গাছ ভেঙ্গে পড়ে অনেক যানবাহন ও পথচারী মারাত্মক আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও মরা গাছের দোহাই দিয়ে সরকারী এই মূল্যবান গাছ এলাকার অসাধুচক্র কেটে বিক্রি করে দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, মরা গাছের মরণ ফাঁদ থেকে প্রতিকার পেতে উলপুর ও নিজড়া এলাকার সচেতন মানুষ একাধিকবার উপজেলা এলজিইডি দপ্তর, উলপুর ও নিজড়া ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বপ্রাপ্তদের অবহিত করলেও এখন পর্যন্ত কার্যকরী কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
এ সড়কের আটো চালক কিরামত মোল্লা, হাফিজ উকিল, কাদের মিনা ও নিজাম সাংবাদিকদের বলেন, আমরা যাত্রীদের নিয়ে রাস্তায় গাড়ি চালাতে ভয় পাই, কারন মাথার ওপর বড় বড় মরা গাছের ডাল ঝুলে আছে। কখন ভেঙ্গে পড়ে ভয়ে থাকি।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে নিজড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ধলু মিনার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষের উচিত অল্প সময়ের মধ্যে মরা গাছ অপসারণ করা।
সদর উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ জাহিদুল ইসলাম বলেন, গত এক বছর পূর্বে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে নির্দেশে আমরা মার্কিং করে ফরিদপুর আঞ্চলিক বন কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রেরণ করেছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় বছর পেরিয়ে গেলেও অজানা কারনে এখন পর্যন্ত টেন্ডার আহ্বান করার অনুমোদন পাইনি। আমরা আইনের কাছে নিরুপায়। ইচ্ছা থাকলেও আমরা জনদুর্ভোগ লাঘব করতে পারছি না।
জেলা বন কর্মকর্তা বিবেক আনন্দ মল্লিক জানান, আমার জানামতে এলজিইডি দপ্তর যখন মূল্য নির্ধারণ সহ গাছ কর্তনের অনুমোদন চেয়ে আবেদন করেছে তার পর থেকেই পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে গাছ কাটার অনুমতি প্রদান বন্ধ রয়েছে।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা নিবার্হী অফিসার এম. রকিবুল হাসান বলেন, আমি এই উপজেলার নিবার্হী অফিসারের দায়িত্ব নেওয়ার আগে থেকেই এই সমস্যাটি তৈরি হয়েছে। জেনেছি মূল্য নির্ধারণ সহ গাছ কর্তনের অনুমোদনের আবেদন পত্রটি ফরিদপুর আঞ্চলিক বন কর্মকর্তার কার্যালয়ে আছে।
বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসক যথেষ্ট সোচ্চার। সড়কটিতে চলাচলকারী পথচারীদের ঝুঁকি ও এলাকার সাধারণ মানুষের ভোগান্তি দূর করতে আমরা চেষ্টা করছি। আশা করা যায় শিঘ্রই জনভোগান্তি দূর হবে।
এমআই