ডিআইইউ প্রতিনিধি:
সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির বহিষ্কৃত ট্রান্সজেন্ডার শিক্ষার্থী সাফওয়ান চৌধুরি রেবিল কর্তৃক ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন এবং আসিফ মাহতাব উৎসকে হত্যার হুমকি ও এলজিবিটি সন্ত্রাসের প্রতিবাদে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (ডিআইইউ) মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
রবিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভবনের সামনে এ মানববন্ধনে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, আইন বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক নাসির আহমেদ, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ডা. মো. আসাদুজ্জামান শিশির, কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান তাহজিব উল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক ড. সায়েদ উল আলম শিবলী, সহকারী প্রফেসর মো. রাকিব হোসেন, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রভাষক মো. শাহরিয়া মান্নান, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক শামীম মাতুব্বরসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
আইন বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক নাসির আহমেদ বলেন, “বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ ধর্মপ্রাণ এবং ধর্মীয় বিধি-বিধান অনুসরণে সর্বদা প্রস্তুত। কিন্তু দুঃখজনকভাবে আমাদের সংস্কৃতি ও ধর্মীয় মূল্যবোধকে উপেক্ষা করে কিছু মানুষ পাশ্চাত্যের সংস্কৃতি আমদানি করার চেষ্টা করছে। এর বিরোধিতা করে সরোয়ার হোসেন ও আসিফ মাহতাব দীর্ঘদিন ধরে লেখালেখি ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। বিশেষ করে তারা এলজিবিটির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন এবং জাতিকে সচেতন করার চেষ্টা করেছেন। এর জের ধরে দুজন শিক্ষক হত্যার হুমকির মুখে পড়েছেন, যা দেশের প্রচলিত আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ।”
তিনি আরও বলেন, “আইন অনুযায়ী এলজিবিটির কার্যক্রম অবৈধ হলেও প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে। অপরাধীদের আইনের আওতায় না এনে বরং নিরপরাধদের নানা উপায়ে হয়রানি করা হচ্ছে। যারা হত্যার হুমকির মতো গুরুতর অপরাধে জড়িত, তাদের গ্রেফতার করতে প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এ ধরনের কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।”
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক শামীম মাতুব্বর বলেন, “প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই স্বৈরাচারী সরকার পতনের আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। এই আন্দোলনের অন্যতম মুখ ছিলেন ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন ও আসিফ মাহতাব। তারা শুধু আন্দোলনেই অংশ নেননি বরং সরকারের দমন-নিপীড়নও সহ্য করেছেন এবং গ্রেফতার হয়েছেন। আন্দোলনের পর থেকেই সরকারের ব্যর্থতা নানা ক্ষেত্রে স্পষ্ট হয়ে উঠছে। অথচ আজ দেশের সম্মানিত এই দুই শিক্ষক হত্যার হুমকি পেয়েছেন কিন্তু প্রশাসনের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ আমরা দেখতে পাচ্ছি না।”
তিনি আরও বলেন, “প্রশাসন একদিকে মব জাস্টিসের বিরুদ্ধে কথা বলছে অন্যদিকে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে ব্যর্থ হচ্ছে। বিদ্যমান আইন অনুযায়ী সমকামিতা বা এলজিবিটির কার্যক্রম অবৈধ হলেও সরকার এ বিষয়ে নির্বিকার। দেশের দুইজন সম্মানিত শিক্ষকের নিরাপত্তা দিতে প্রশাসনের ব্যর্থতা স্পষ্ট। তাই ইউনুস সরকারের প্রতি আহ্বান, অবিলম্বে অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনুন। অন্যথায় বাংলার ছাত্রসমাজ কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে।”
এমআই