ডিআইইউ প্রতিনিধি:
ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ডিআইইউ) তিন নম্বর আবাসিক হলে অভিযান চালিয়ে গাঁজাসহ বিভিন্ন নেশাদ্রব্য ও নেশা করার সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) রাতে পরিচালিত এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও হল টিউটর আসাদুজ্জামান। কয়েকটি কক্ষ তল্লাশির সময় একটি কক্ষ থেকে গাঁজা ও অন্যান্য নেশাদ্রব্য পাওয়া যায়।
ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। সহকারী প্রক্টর ও সহযোগী অধ্যাপক মো. আতিকুল ইসলাম মামুনকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে। অন্য দুই সদস্য হলেন সহকারী প্রক্টর ও প্রভাষক শাহরিয়ার মাহমুদ মিনার এবং বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজির প্রভাষক মো. শাহেদ আলম।
এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে মনে করছেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই পদক্ষেপ হলের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। তাদের মতে, নিয়মিত নজরদারি চালালে এ ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. জাহিদুল ইসলাম বলেন, “এ ধরনের ঘটনা প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ণ করে। শিক্ষাঙ্গনে নেশা বা অসামাজিক কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। প্রক্টোরিয়াল টিম প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।”
তদন্ত কমিটির প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী প্রক্টর মো. আতিকুল ইসলাম মামুন জানান, অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং আরও কয়েকজনকে করা হবে। তদন্ত শেষ করতে ১০–১২ দিন সময় লাগবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সিট বাতিলসহ কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
একে