বুধবার, সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৫
তানভীর আহমেদ, কুয়েট:
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) ক্যাম্পাসে আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিক সমিতির কার্যক্রম শুরু হলো। দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি রক্ষা এবং ক্যাম্পাসের কার্যক্রমকে দেশব্যাপী প্রচারের জন্য একটি সাংবাদিক সংগঠনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছিলেন। অবশেষে পহেলা সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক প্রফেসর ড. বি.এম. ইকরামুল হক সাংবাদিক সমিতির অনুমোদন প্রদান করেন।
কুয়েটের বিভিন্ন বিভাগে অধ্যয়নরত এবং জাতীয় দৈনিক ও স্থানীয় পত্রিকায় প্রতিনিধিত্ব করা শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরেই একটি প্ল্যাটফর্মে কাজ করার চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন। তাদের আবেদনের ভিত্তিতে এবং সাংবাদিক সমিতির গুরুত্ব বিবেচনায় অনুমোদন দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন ছাত্রকল্যাণ পরিচালক।
বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মাকসুদ হেলালী, সকল ফ্যাকাল্টির ডীন, শিক্ষকবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের অ্যালামনাই, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি এবং ইইই অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মোঃ রফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ইইই ১৯ ব্যাচের মোঃ ওবায়দুল্লাহ ও ইএসই ২৩ ব্যাচের ফাতিন ইসলাম বক্তব্য দেন। কর্মচারী, কর্মকর্তা, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন ও শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকেও নেতৃবৃন্দ শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুর রহমান। তিন প্রজন্মের সেতুবন্ধনের প্রতীক হিসেবে বক্তব্য দেন প্রফেসর ড. এম. এম. হাশেম। অ্যালামনাইদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন ইঞ্জি. মাহমুদ আমিন খান।
সাংবাদিক সমিতি অনুমোদনের প্রেক্ষিতে ছাত্রকল্যাণ পরিচালক প্রফেসর ড. বি.এম. ইকরামুল হক বলেন,
“কুয়েটে বর্তমানে যেসকল সমস্যা রয়েছে, তার একটি কারণ হলো ভুল তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রচার। শিক্ষার্থীদের এই উদ্যোগ সময়োপযোগী এবং প্রশংসনীয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে।”
এই উদ্যোগের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবাদ কার্যক্রম আরও সুসংগঠিত হবে এবং শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকতার চর্চায় একটি কাঠামোবদ্ধ পরিবেশে কাজ করার সুযোগ পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন সংশ্লিষ্টরা।
এমআই