জামালপুর প্রতিনিধি :
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ঝাউগড়া ইউনিয়নের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাউল কালোবাজারিতে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে ডিলারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে ঝাউগড়া ইউনিয়ন যুবদলের কয়েকজন নেতার উপর দায় চাপানোর চেষ্টা চলছে।
অভিযুক্ত ডিলালের নাম আমিনুল ইসলাম ডাক্তার। তিনি ঝাউগড়া ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন।
এ ঘটনার সাথে জড়িত ঝাউগড়া ইউনিয়নের চিহ্নিত চাউল কালোবাজারি মোঃ আপেল মিয়া। তার নামে এখনো চাউল কালোবাজারির মামলা চলমান রয়েছে। এরআগে জেলও খেটেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত (২০ সেপ্টেম্বর) রাতের অন্ধকারে আমিনুল ডাক্তারের ডিলার পয়েন্ট এবং আপেলের গোডাউন থেকে চাউল একটি ড্রাম ট্রাক ভর্তি করে কালোবাজারির উদ্দেশ্যে ইসলামপুরে নিয়ে যাচ্ছিল।
শুধু আমিনুল ডাক্তারের ডিলার পয়েন্ট থেকে চাউল কালোবাজারিতে বিক্রি হয়না। ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব সুমন এবং আরেক যুবদল নেতা সোহেলের ওখান থেকেও চাউল কালোবাজারিতে বিক্রি হয় এমন অভিযোগ রয়েছে।
এমন সংবাদ পেয়ে কয়েকজন সাংবাদিক মানকি বাজারের পাশে গিয়ে চাউল ভর্তি গাড়িটি আটক করে। এ সময় অনেক লোকজন জমায়েত হয় এবং কয়েকজন যুবদলের নেতাকর্মীরা যায় সেখানে।
চাউল ভর্তি গাড়িটির ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করলে চাউল কোথায় থেকে আনা হয়েছে উত্তরে জানায় আমিনুল ডাক্তারের ডিলার পয়েন্ট থেকে। এমন ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরেছে। চাউল কালোবাজারিতে বিক্রির দায় চাপানোর জন্য সেসময় উপস্থিত যুবদল নেতাদের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলা হয়েছে।
রেজাউল ইসলামে এক যুবদল নেতা বলেন, চাউল কালোবাজারির খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি বেশ কয়েকজন সাংবাদিক। আমি সঠিক তথ্য জানার জন্য সেখানে যায় এবং ঘটনার পরে সেখান থেকে চলে আসি। কিছু কুচক্রী মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আমার নামে অপ্রচার চালাচ্ছে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য তারা গুলা অপ্রচার করছে।
এবিষয়ে ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি ও খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ডিলার আমিনুল ইসলাম ডাক্তারের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি।
মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এস. এম. আলমগীর বলেন, এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পাইলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমআই