মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

অপার সম্ভাবনার ব্লু ইকোনমি থেকে দেশ যা যা পেতে পারে

সোমবার, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৫
অপার সম্ভাবনার ব্লু ইকোনমি থেকে দেশ যা যা পেতে পারে

সময় জার্নাল প্রতিবেদক:

তলদেশে থাকা খনিজ সম্পদ, প্রায় পঞ্চাশ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন, বিশাল মৎস্যসম্পদ, সী ক্রুজিং ও সমুদ্র কেন্দ্রিক বিজনেস হাবসহ  বঙ্গোপসাগর অপার সম্ভাবনার ব্লু ইকোনমির ভান্ডার। পর্যাপ্ত রিসার্চ,  সঠিক পরিকল্পনা করে আগাতে পারলে দেশে এক অন্যন্য অগ্রগতি ঘটবে। এই ব্লু ইকোনমির সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে জানিয়েছেন অর্থনীতিবীদ ও এনবিইআর চেয়ারম্যান অধ্যাপক সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ। আজকে থাকছে প্রথম পর্ব।

বাংলাদেশের ব্লু ইকনোমির সম্ভাবনা কেমন জানতে চাইলে অধ্যাপক পারভেজ বলেন, বাংলাদেশের যে সাইজ, যেখানে আঠারো কোটি মানুষের চাপ। রিসোর্স বলতে খুব নেই আর আমাদের ব্লু ইকোনমির যেটা সাগর। আমরা যে সাগর বিজয় করেছি আন্তর্জাতিক আদালতে, সেটা আমাদের ডাবল না হলেও ৮০%। এক লক্ষ আঠারো হাজার স্কয়ার ফিট। তার মানে আরেকটি বাংলাদেশের আশি পার্সেন্ট ওখানে রয়ে গেছে। তাই এটার অপার সম্ভাবনার ওখানে কী কী সম্ভাবনা। প্রথম কথা হচ্ছে যে আমাদের ওখানে মিনারেলস রিসোর্সেস আছে, অয়েল অ্যান্ড গ্যাস আছে। সোয়্যাস ল্যান্ড বলে একটা জায়গা আছে যেখানে অনেক তেল, অনেক গ্যাস। যেটা বিদেশী বণিক তাদের সবার বাংলাদেশে আগমন ওইটার কারণে। তারপরে আমাদের আর কী কী আছে বলি। বিশাল মৎস্যসম্পদ আছে। তারপরে আপনার যেটা আমরা করতে পারি সেটা হচ্ছে আমাদের আছে ডার্টি ওয়াটার যার টাইডাল পাওয়ার অনেক বেশি। আমরা ওখান থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারি। তারপর আমাদের এখানে যেহেতু জায়গা কম, বাংলাদেশে আমরা আপনার রিনিউয়েবল এনার্জি এর জন্য ভাসমান সোলার প্যানেল ওখানে দিতে পারি। তারপরের কথা তো আরও অনেক আছে। যেমন সী ট্যুরিজম আছে। 

এখন যেটা বলি, একটা পদক্ষেপ সরকার নিয়েছে ডক্টর ইউনূসের সরকার। এটা বিগত আমলে হাসিনার সময় সোনাদিয়ায় হওয়ার কথা ছিল। চায়নার সাথে। ওটা ক্যানসেল হয়ে গিয়ে এখন মাতারবাড়িতে আসছে। মহেশখালীতে আসছে এবং এই মহা সমুদ্র বন্দরকে কেন্দ্র করে আরেক ধরণের ব্লু ইকোনমি গড়ে উঠবে। কক্সবাজারে যেরকম আপনি দেখছেন। হোটেল, মোটেল, দোকান এগুলো। ইকনোমিক হাব পোর্ট হচ্ছে। সেজন্য ওইটাও গড়ে উঠবে। তাই আমি মনে করছি এটার সম্ভাবনা অসীম। 

ব্লু ইকোনমি এর মূল জিনিসটাই হচ্ছে আপনার ঐ এক লক্ষ আটশো কত স্কয়ার কিলোমিটার যেটা সাগর। সেজন্য আমরা ওই সাগরকে কেন্দ্র করেই ওই সাগরের ভিতরেই কাজ করে যেহেতু মাতারবাড়ি পোর্ট হচ্ছে সেই জন্য মাতারবাড়ি পোর্ট কে কনট্রিবিউশন টু দ্য ব্লু ইকোনমি বলছি। 

সমুদ্রপথে বানিজ্য বাড়াতে কোন অবকাঠামো উন্নয়ন জরুরি এই মুহুর্তে এই বিষয়ে তিনি বলেন, অবকাঠামো উন্নয়ন করা হচ্ছে। সমুদ্র পথে বানিজ্য বাড়াতে আপনাকে প্রথমে সিঙ্গাপুরের মতন ট্রান্সশিপমেন্টের ব্যবস্থা করতে হবে। একটা জাহাজ ঢুকবে আর একটা জাহাজ বেরিয়ে যাবে। বার্থ টাইম হবে তিন দিন সাতদিন। না। আসবে, খালাস করবে, চলে যাবে। মোর দ্যান ওয়ান শিপ হেল্প সেন্টার অফ লোড এন্ড গো ব্যাক। যেটা মাতারবাড়িতে ব্যবস্থা করা হয়েছে। মাদার ভেসেল যেটা আঠারো ফুট গভীরতা সেটা করা হয়েছে। সুতারং মাতারবাড়িকে কেন্দ্র করে এই সমস্ত প্রয়োজনীয়তাগুলি মিট করা হচ্ছে। 

জোয়ার ভাটাকে কাজে লাগিয়ে সমুদ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা নিয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক পারভেজ বলেন, দুই ধরনের শক্তি আছে। একটা হচ্ছে পানির নিচে টাইডাল। আমরা ওটা থেকে দশ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন করতে পারি পানির নিচে। আর আপনি যদি পানির উপরে ল্যান্ডের যদি সমস্যা হয় যে ল্যান্ড এ আপনি সোলার গুলো বসাবেন তাহলে আমরা ফ্লোটিং বসাতে পারি। যেটা দিয়ে আমরা চল্লিশ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারি। তার মানে একটা হচ্ছে সমুদ্রের উপরের বাতাসের শক্তি আরেকটা তা হচ্ছে টাইডাল শক্তি। 

সামদ্রিক জীববৈচিত্র রক্ষায় কি ধরনের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা দরকার জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার চাইতে নিজস্ব সহযোগিতায় বেশি প্রয়োজন। যেগুলো রেয়ার ফিশ বা আমরা খাবো না, কনজিউম করব না বা করব। সবগুলোকে ধরার জন্য আপনাকে সিলেক্ট করে দিতে হবে যে এই মাস থেকে এই মাস এগুলো আমাদের ব্রিডিং। এ সময় মাছ ধরতে পারবেন না আর সারাবছর পারবেন। আর অনুমোদন আমরা যেটাকে বলি আমাদের যেগুলো একটু রেয়ার, ওগুলো ওইভাবে তৈরি করার জন্য সমুদ্রের অঞ্চল ঘিরে রাখতে হবে। যেন ওখানে ফিশিং করাই যায় না। ওখানে বিশেষ ধরনের মাছ আসে। এগুলোর জন্য সচেতনতা, ট্রেইনিং জ্ঞানের প্রয়োজন। খুব বেশি বিনিয়োগের প্রয়োজন নেই।

এমআই 


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৫ সময় জার্নাল