তালুকদার হাম্মাদ, ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফোকলোর স্টাডিজ ও ল এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের অংশগ্রহণের সুযোগদানের প্রতিবাদে স্মারকলিপি প্রদান করেছে শাখা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর তারা এটি প্রদান করে। এসময় তারাসহ বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতৃবৃন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইবনে সিনা বিজ্ঞান ভবনের ডিন অফিসে প্রশাসনিক বিভিন্ন কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে বসে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ইবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ, সদস্য সচিব মাসুদ রুমি মিথুন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার পারভেজ, শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান , ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নুর আলম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক এস. এম. সুইটসহ বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এদিকে, ১০ টা ৪০ মিনিটে বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসেন তারা। এসময় শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা উক্ত ভবনের নিচে বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিলে তাদের, "ফ্যাসিস্টদের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না; ফ্যাসিস্টযুক্ত নিয়োগ বোর্ড, মানিনা মানবো না; ছাত্রলীগ থাকবে যেখানে, জুলাই হবে সেখানে; নিয়োগ নিয়ে বাণিজ্য, মানিনা মানবো না; অবৈধ নিয়োগ, মানিনা মানবো না।" ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এদিকে বিবৃতিতে ছাত্রদল আহ্বায়ক শাহেদ আহমেদ এবং সদস্য সচিব মাসুদ রুমি মিথুন বলেন , গত ৯ অক্টোবর ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী-ছাত্রলীগের দোসর হিসেবে পরিচিত রাকিবুল ইসলাম রাকিব নামে এক প্রার্থী অংশগ্রহণ করেন, যিনি নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এটি জুলাই চেতনার পরিপন্থী ও জুলাই আন্দোলনের শহীদদের রক্তের প্রতি বেঈমানির শামিল বলেও উল্লেখ করা হয়।
তারা আরও বলেন, বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) 'ল অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট' বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে ছাত্রলীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীরাও অংশ নেবে বলে জানা গেছে। আমরা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল কোনোভাবেই জুলাই চেতনাকে বাধাগ্রস্ত করতে চাই না। আমরা আশা করি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদেরকে একটি ফ্যাসিস্টমুক্ত শিক্ষক নিয়োগ উপহার দেবেন।”
পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, " ছাত্র হিসেবে মেধার ভিত্তিতে এখানে সবাই অংশগ্রহণ করছে। এখানে কে ছাত্রলীগ বা অন্য কোনো দলের সঙ্গে জড়িত কিনা সেটা তো দেখার বিষয় না, পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ তো সবাই পাবে। এটা জাস্ট একটা অভিযোগ আরকি। এবারের শিক্ষক নিয়োগ অতীতের সকল বদনামকে ঘোচাবে। ছাত্রদল যে এই নিয়োগ পরীক্ষাকে অবৈধ বলছে এটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার"
একে