আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
তেহরানের সাথে ২০২৫ সালের পরমাণু চুক্তির আনুষ্ঠানিক অবসান ঘটেছে, ফলে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিতে এখন আর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ভূমিকা থাকবে না, শনিবার জাতিসংঘে পাঠানো এক চিঠিতে এই ঘোষনা দিয়েছে ইরান, রাশিয়া, এবং চীন। খবর- সৌদি গেজেট
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং নিরাপত্তা পরিষদের উদ্দেশ্যে লেখা এ চিঠিতে তিনটি দেশই জানায়, জাতিসংঘের ২২৩১তম প্রস্তাবটি অক্টোবর ১৮, ২০২৫ তারিখে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে, ফলে এর আওতায় থাকা সকল বিধান এখন বাতিল।
উল্লেখ্য যে, ১০ বছরের ওই চুক্তিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিনিময়ে ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ ৩.৬৭ শতাংশে সীমাবদ্ধ করা হয়েছিল এবং জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষণ সংস্থা, আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) দ্বারা তার পরমাণু কর্মকাণ্ডের কঠোর তদারকির ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
ওই চিঠিতে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং জার্মানির কথা উল্লেখ করে বলা হয় ওই দেশগুলো নিজেরাও আর চুক্তি মানছে না, ফলে তেহরানের ওপর ওই চুক্তির আওতাভুক্ত বিধানগুলো আবার আরোপে তাদের দাবি ভিত্তিহীন।
ইরানের ওপর একতরফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ, হুমকি অথবা উত্তেজনা তৈরি করে এমন কাজ থেকে অন্যান্য দেশকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয় ওই চিঠিতে। এর বদলে পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে আলোচনার আহ্বান জানানো হয়।
এর আগে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার দিন এক বিবৃতিতে বলেছে, এখন থেকে, 'ইরানের পরমাণু কর্মসূচির ওপর বিধিনিষেধ এবং সংশ্লিষ্ট প্রক্রিয়াসহ চুক্তির সমস্ত বিধান বাতিল বলে বিবেচিত হবে।'
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ভিয়েনায় ইরান, চীন, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক স্বাক্ষরিত চুক্তিতে ইরানের ওপর থেকে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছিল এবং বিনিময়ে তাদের পরমাণু কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল।
কিন্তু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে একতরফাভাবে চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর চুক্তিটি ইতোমধ্যেই ভেঙে পড়েছে। পরে ইরান তার প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসে।
যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং জার্মানির তাগিদে গত মাসে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের ফলে চুক্তিটি কার্যকরভাবে বিতর্কিত হয়ে পড়ে।
একে