মো বাঁধন হোসেন:
দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের হাবিপ্রবি শাখার আয়োজনে নবীনবরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন দ্যা গ্র্যান্ড দাদুবাড়ি রিসোর্ট অ্যান্ড পার্কের অডিটোরিয়ামে এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন প্রথম বর্ষের প্রায় আট শতাধিক নবীন শিক্ষার্থী।
হাবিপ্রবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি রেজওয়ানুল হকের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি শেখ রিয়াদের সঞ্চালনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মোঃ রাজিবুর রহমান পলাশ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি ও ডাকসু এজিএস মোঃ মহিউদ্দিন খান, কেন্দ্রীয় বিতর্ক সম্পাদক আসাদুল ইসলামসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাজিবুর রহমান পলাশ বলেন, “আমাদেরকে অনেক প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়, তারপরই কেউ শিবিরে আসে। আমরা চাই আপনারাও প্রশ্ন করুন, আমরা উত্তর দিয়েই আপনাদের স্বাগত জানাবো।”
“আমার বাবা ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান হয়েও আমি শিবিরে যুক্ত হয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ, শিবিরের আদর্শে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।”
“লক্ষ লক্ষ নৈতিক চরিত্রের মানুষ উপহার দিতে ছাত্রশিবির সক্ষম হয়েছে। আগামী প্রজন্মকে সৎ, দক্ষ ও যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সংগঠনটি কাজ করছে।”
বিশেষ অতিথি ডাকসু এজিএস মোঃ মহিউদ্দিন খান নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন,
“শিক্ষাজীবন কেবল ডিগ্রি অর্জনের জন্য নয়, নৈতিকতা ও মানবিক গুণাবলিও সমান গুরুত্বপূর্ণ। একজন আদর্শ মানুষ হতে হলে আত্মশুদ্ধি ও সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা থাকা জরুরি।”
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ইতিবাচক ভূমিকা রাখার প্রত্যয়ে হাবিপ্রবি শিবির কর্মীরা বলেন,
“আমরা চাই জ্ঞান, নৈতিকতা ও সহাবস্থানমূলক পরিবেশ গড়ে তুলতে। ভিন্ন মত থাকলেও একাডেমিক উন্নয়ন ও নৈতিকতার জায়গায় যেন সবাই একসঙ্গে কাজ করতে পারি।”
“শিবির মানে শুধু রাজনীতি নয়, এটি চরিত্র গঠনের এক প্রক্রিয়া। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয় হোক জ্ঞান, শৃঙ্খলা ও আদর্শ নেতৃত্বের কেন্দ্র।”
প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী তাহমিনা সুলতানা বলেন, “এমন উষ্ণ অভ্যর্থনা সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। নেতৃত্ব ও নৈতিকতা নিয়ে আলোচনা আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে।”
অন্য এক নবীন শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম বলেন, “এটি শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং আত্ম-উন্নয়নের দিকনির্দেশনা পাওয়া গেল। শুরুটা এমন হলে বিশ্ববিদ্যালয় জীবন আরও সুন্দর হবে।”
অনুষ্ঠানের শেষপর্বে নবীন ও প্রবীণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিলনমেলা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
নেতৃবৃন্দ নবীনদের উদ্দেশে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে নৈতিকতা, দায়িত্ববোধ ও একাডেমিক উৎকর্ষের মাধ্যমে আদর্শ নাগরিক হিসেবে বেড়ে ওঠাই হবে তাদের লক্ষ্য।
এমআই