তালুকদার হাম্মাদ, ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামীক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহ'র হত্যার ১০০ দিন গত হলেও এখনো খুনিদের চিহ্নিত করতে পারেনি প্রশাসন। তাই এ হত্যাকান্ড ও পরবর্তী বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে প্রতীকী শর্টফ্লিম তৈরি করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের রূদ্রদা প্রোডাকশন।
শনিবার ( ২৫ অক্টোবর ) রাত ৮ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তারা এ ফ্লিম প্রদর্শনের ব্যবস্থা করে।
ফ্লিমটিতে অভিনয় করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইশতিয়াক ইমন, সাইফুন্নাহার লাকী, নাইমুল ফারাবী, সুমাইয়া বন্না , হাম্মাদ তালুকদার, সাইফুল ইসলাম, রুফাইদা রহমান, ফারহান নিবির, মাহমুদ হাসিব ও জাহিদুল নাহিদ।
ফ্লিমটিতে দেখা যায়, কয়েকজন ব্যক্তি অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে একটি রুমে। হঠাৎ করে ঘুম ভাঙ্গে হাসিবের। ঘুম থেকে উঠে সে দেখে মেঝে পড়ে আছে তার ম্যাডাম ( ডিসি)। এরপর তার ম্যাডামও চৈতন্যে ফিরে। জ্ঞান ফিরে হিকমতেরও। সে জ্ঞানে ফিরে চিৎকার করে সবার কাছে জিজ্ঞেস করতে থাকে " কোথায় সে"। একপর্যায়ে জানালার কাছে গিয়ে সে মানুষ ডাকতে গেলে গুলি খায় সে। এরপর হতবিহ্বল হয়ে পড়ে হাসিব ও ডিসি। ধীরে ধীরে ঘুম ভাঙ্গে সবার। হঠাৎ একটা করেই একটি ক্যাসেট বেজে ওঠে যেখানে বলা হচ্ছে ' রাবির হত্যাকান্ডের খুনিদের খুজে বের করা উচিত'। এরপর সবাই উঠে বসে। আলোচনা শুরু করে রাবির হত্যাকান্ড নিয়ে। কেউ বলে তাকে হত্যা করা হয়েছে কেউ বলে রাবির সুইসাইড করেছে। মাঝে মাঝে কেউ দাবি করে তাদের মাঝেই রয়েছে খুনি। তর্কবিতর্কের মাঝে রুম ত্যাগ করতে গিয়ে গুলি খেয়ে মরে যায় সৌরভ। এরপর তর্কবিতর্কে একে একে সবাই মারা যায়। শেষে দেখা যায় খুনি এসে চেয়ারে বসে খিলখিল করে হাসতে থাকে।
এ ব্যাপারে ইশতিয়াক ফেরদৌস ইমন বলেন, আজ সাজিদ আব্দুল্লাহ হত্যার ১০০তম দিন। দীর্ঘ সময় পার হলেও এখনো তদন্তের কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি নেই। প্রশাসনের নানা তালবাহানায় বিচার ব্যাবস্থা পিছিয়ে পড়ছে ক্রমেই। ১০০তম দিনেও কোনো অগ্রগতি না আসায় এর প্রতিবাদে এবং সাজিদ আব্দুল্লাহর স্মরণে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটে আমরা প্রদর্শন করি শর্ট ফিল্ম ‘কার্যক্রম চলমান’।
তিনি আরও বলেন, "সাজিদ আব্দুল্লাহ মৃত্যু কান্ডের ১০০ তম দিন গেলেও আমরা শুনিনি বিচারের আলো। আমরা রুদ্র'দা প্রোডাকশান তাই প্রতিবাদ স্বরুপ এই ফিল্ম 'কার্যক্রম চলমান' প্রদর্শন করেছি। এই ফিল্মে আমরা দেখিয়েছি কীভাবে উচ্চমহলের অবহেলার কারণে বিচার হতে দেরী হয়। আজকে এটি প্রদর্শনে আরো স্বোচ্চার হয়েছি। আশা করছি মানুষ এতে সারা ফেলে আন্দোলনের ডাক দিবে নিজ উদ্যোগে।
একে