মাহবু্বুল হক খান, দিনাজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুরে দুদকের গনশুনানি অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। দিনাজপুর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আয়োজিত গণশুনানিতে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের বিরুদ্ধে ১৬৯টি অভিযোগ দায়ের হলেও দিনাজপুর জেলা পুলিশ কার্যালয়ের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ দায়ের হয়নি।
গণশুনানিতে যেসব দপ্তরের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করা হয়, সেসবের মধ্যে ছিল বিআরটিএ, পাসপোর্ট অফিস, সাব-রেজিস্ট্রি অফিস, বিআরডিসি, দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড, গণপূর্ত অধিদপ্তর, সড়ক ও জনপদ বিভাগ, এলজিইডি, জেলা কারাগার, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিভিল সার্জন অফিস উল্লেখযোগ্য।এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উপস্থাপন করা হয়। উপস্থিত কর্মকর্তারা কিছু অভিযোগের তাৎক্ষণিক সমাধান দেন এবং বাকি অভিযোগগুলো তদন্তের আশ্বাস ও দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন।
গণশুনানিতে মোট ১৬৯টি অভিযোগ জমা পড়ে, যার মধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে ১২৮টি অভিযোগের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এতে অভিযোগকারীদের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
তবে দিনাজপুরে দুদকের গণশুনানিতে ১২৮টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপিত হলেও দিনাজপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের বিরুদ্ধে কেউ কোন ধরনের অভিযোগ উত্থাপন করেননি। এর দুটি কারণ থাকতে পারে। প্রথমত বর্তমানে পুলিশ বিভাগ অনেকটা দুর্নীতিমুক্ত, স্বচ্ছতা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে তাদের দায়িত্ব পালন করছেন। আর দ্বিতীয়ত ভবিষ্যতে হয়রানির ভয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে কেউ কোন ধরনের অভিযোগ উত্থাপন করেননি। তারপরও সচেতন মহলের প্রত্যাশা, শুধু পুলিশ বিভাগ নয়, সরকারের সকল বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা তাদের দপ্তরকে দূর্নীতিমুক্ত রাখবেন। কারণ তারা শাসক নয়, তারা সবাই জনগণের সেবক। তাই জবাবদিহিতা, সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে তারা তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন। জনগণের করের টাকায় কর্মকর্তা কর্মচারীদের দেয়া হয়।
দিনাজপুর জেলা মোহাম্মদ রুহ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন, রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মো. নুরুল হুদা এবং দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মারুফত হোসেন।
প্রধান অভিযোগের ধরন সরকারি দপ্তরে : অনিয়ম, ঘুষের চাহিদা, সেবা বিলম্ব ও বেসরকারি দপ্তরে টেন্ডার ও সেবা প্রক্রিয়ায় অনিয়ম।
দূর্নীতি দমন কমিশনের বার্তা-প্রমাণিত অভিযোগের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জনগণের টাকার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে। কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা দায়িত্ব পালনে সতর্ক ও স্বচ্ছ থাকবেন। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য যুগান্তকারী পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে।
এমআই