আইনুল ইসলাম:
মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ৫৫তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা শাখার উদ্যোগে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির রাঙ্গামাটি জেলা শাখার অফিসে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার সম্মানিত সভাপতি
রবিউল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা সেক্রেটারি ইরফানুল হক। এছাড়াও জেলা শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ,কর্মী ও শুভানুধ্যায়ী উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তারা মহান মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট, স্বাধীনতা অর্জনের পেছনে জাতির ত্যাগ ও সংগ্রাম এবং বিজয় দিবসের প্রকৃত তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করেন। তারা বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ ছিল মূলত অন্যায়, শোষণ ও জুলুমের বিরুদ্ধে এ দেশের মানুষের ন্যায়সঙ্গত সংগ্রাম। শহীদের আত্মত্যাগ ও অসংখ্য মা-বোনের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীনতা আমাদের জন্য এক বিরাট আমানত।
বক্তারা আরও বলেন, বিজয়ের প্রকৃত অর্থ তখনই বাস্তবায়িত হবে, যখন দেশ থেকে দুর্নীতি, অন্যায় ও বৈষম্য দূর হবে এবং ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে। স্বাধীনতার সুফল যেন সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে যায়—সে লক্ষ্যেই ছাত্রসমাজকে নৈতিকতা, আদর্শ ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
আলোচনা সভায় দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট নিয়েও বক্তারা গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন। বিশেষ করে ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে তারা বলেন, গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম এখনো চলমান। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারাবাহিকতায় জুলাই আন্দোলন আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম কখনো থেমে থাকে না। তরুণ ও ছাত্রসমাজ এই আন্দোলনে যে ভূমিকা রেখেছে, তা জাতির ভবিষ্যতের জন্য আশাব্যঞ্জক।
বক্তারা ছাত্রসমাজকে বিজয় দিবসের আদর্শ ধারণ করে দেশ গঠনে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান এবং ইসলামী মূল্যবোধের আলোকে একটি মানবিক, ন্যায়ভিত্তিক ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সভা শেষে মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদের রুহের মাগফিরাত কামনা, দেশ ও জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি এবং কল্যাণ কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
এমআই