এহসান রানা, ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুরে অটো রিকশা চালকের ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন ও প্রধান আসামিসহ দুইজন কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একসাথে নেশা করার কথা বলে ডেকে রিকশাচালক টিপুকে হত্যা করে তার সহকর্মী রাজিব খান (৪১)। হত্যায় ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র ও রিক্সার ব্যাটারীসহ যন্ত্রাংশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুরে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার কনফারেন্স রুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল আজমীর হোসেন।
ঘাতক রাজিব খান জেলার সদর উপজেলার বাকীগঞ্জ গ্রামের মৃত ফিরোজ খানের ছেলে। অপর আসামী মান্নান হাওলাদার সাহা বিশ্বাস ডাঙ্গী গ্রামের মানিক হাওলাদারের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, মুল আসামী রাজিব খান ও নিহত টিপু শহরের একটি ইট ভাটায় কাজ করতো। নিহত টিপু শেখ অবসর সময়ে রিকশা চালাতো। গত ১৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর একসাথে নেশা করার কথা বলে টিপুকে ডাকে ঘাতক। এরপর রাতে শহরতলীর ঈশানগোপালপুর এলাকার একটি কলাবাগানে নিয়ে গাজাসেবন শেষে চাকু দিয়ে চালক টিপু কে কুপিয়ে হত্যা করে রিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়।
পরের দিন সকালে লাশ উদ্ধার শেষে নিহতের ভাই সিদ্দিক শেখ বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করে। নিহতের মোবাইলের কললিস্ট ও বিভিন্ন এলাকার সিসি টিভির ফুটেজের সূত্র ধরে ঘাতক রাজিব শেখ কে আটক করে পুলিশ। ঘাতক রাজিব খান দায় দেনা হওয়ায় অটোরিকশা টি ছিনতাইয়ের উদ্যেশ্যে এই হত্যাকান্ডটি ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে।
এই ঘটনায় ছিনতাই হওয়া চোরাই রিকশা কেনাবেচাকারী অপর একজন কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এমআই