শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

আলোচিত মডেল তিন্নি হত্যার রায় আজ

রোববার, নভেম্বর ১৪, ২০২১
আলোচিত মডেল তিন্নি হত্যার রায় আজ

বিনোদন ডেস্ক। নব্বই দশকের আলোচিত মডেল ও অভিনেত্রী সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি। ২০০২ সালের ১০ নভেম্বর রাতে কেরানীগঞ্জের বুড়িগঙ্গা নদীর ১ নম্বর চীন মৈত্রী সেতুর ১১ নম্বর পিলারের পাশে তার লাশ পড়েছিল। তিন্নি হত্যা মামলায় একমাত্র আসামি বরিশাল-২ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভি। ১৯ বছর পেরিয়ে গেলেও তিনি আজও ধরাছোঁয়ার বাইরে। অভির বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার জন্য আজ সোমবার (১৫ নভেম্বর) দিন ধার্য রয়েছে। ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ কেশব রায়চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করবেন।

এর আগে গত ২৬ অক্টোবর ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ কেশব রায়চৌধুরীর আদালতে মামলার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। ওইদিন বিচারক রায় ঘোষণা না করে ১৫ নভেম্বর নতুন দিন ধার্য করেন।

এই হত্যাকাণ্ড মডেল তিন্নির পুরো পরিবারকে লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে। সে সময় তিন্নি ছিলেন এক কন্যাসন্তানের জননী। তার মেয়ের বয়স ছিল দেড় বছর। সে হিসেবে বর্তমানে মেয়েটির বয়স ২০ বছর। মায়ের মৃত্যুর ১৯ বছর পর সেই মেয়ে এখন কোথায়? কার সঙ্গেই বা থাকছেন তিন্নির মা-বাবা?

জানা গেছে, মডেল তিন্নির একমাত্র মেয়ে এখন বাবার সঙ্গে বিদেশে থাকেন। তিন্নিরা ছিলেন দুই বোন, ছোট বোন এয়ার হোস্টেস। তিন্নির বাবা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান কর্মজীবন প্রবাসে কাটালেও এখন দেশে একা থাকেন। তিন্নির মা স্বামীকে ছেড়ে পাকিস্তান চলে গেছেন।

এদিকে কলাবাগানে ফুফুর যে বাড়িতে তিন্নিরা থাকতেন, অভির (তিন্নি হত্যার আসামি) ভয়ে বাড়িটি বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয় পরিবারটি। এভাবেই একটি খুনের কারণে তছনছ হয়ে যায় সাজানো পরিবার।

২০০২ সালের ১০ নভেম্বর রাতে মডেল তিন্নির লাশ পাওয়া গেলেও প্রথমে সেটি শনাক্ত করা যায়নি। পরদিন (১১ নভেম্বর) নাম না জানা আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেন কেরানীগঞ্জ থানার তৎকালীন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. সফি উদ্দিন। এ মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) মো. কাইয়ুম আলী সরদার।

পরবর্তীতে লাশটি তিন্নির শনাক্ত হলে মামলাটি চাঞ্চল্যকর উল্লেখ করে ২০০২ সালের ২৪ নভেম্বর তদন্তভার সিআইডিতে ন্যস্ত হয়। মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান সিআইডির পরিদর্শক সুজাউল হক, সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) গোলাম মোস্তফা, এএসপি আরমান আলী, এএসপি কমল কৃষ্ণ ভরদ্বাজ ও এএসপি মোজাম্মেল হক। সর্বশেষ তদন্ত কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক ২০০৮ সালের ৮ নভেম্বর সাবেক ছাত্রনেতা ও সংসদ গোলাম ফারুক অভিকে একমাত্র আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

তিন্নি হত্যা মামলায় জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভির বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে আগামি ১৫ নভেম্বর ধার্য করেছেন আদালত। গত মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ কেশব রায়চৌধুরী এ তারিখ নির্ধারণ করেন।

এই মামলায় পুলিশি তদন্তে প্রাথমিকভাবে জাতীয় পার্টির সাবেক সাংসদ গোলাম ফারুক অভি অভিযুক্ত হলেও পুলিশ তাকে আটক করতে পারেনি। অভির অনুপস্থিতিতেই ২০১০ সালের ১৪ জুলাই ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তিন্নি হত্যা ও মরদেহ গুম-সংক্রান্ত মামলায় অভির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। তিন্নি হত্যা মামলার অভিযোগপত্রে ৪১ জনকে সাক্ষী করা হয়। এ ছাড়াও এই মামলায় ২২টি আলামত জব্দ করা হয়।

প্রসঙ্গত, গোলাম ফারুক অভির উত্থান ঘটে সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের শাসনামলে। ছাত্র হিসেবে তিনি অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। এসএসসি এবং এইচএসসিতে বোর্ড পর্যায়ে মেধার স্বাক্ষর রাখেন। নব্বইয়ের গণআন্দোলন ঠেকাতে এরশাদের নজর পান অভি। ওই সময় অপহরণ ও মুক্তিপণ এবং চাঁদাবাজিসহ নানান অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। তিনি নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে গ্রেপ্তার হন। তবে নব্বইয়ের গণআন্দোলনের চরম পর্যায়ে ডিসেম্বরের প্রথমদিকে তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান। আর মুক্তি পেয়েই পুরো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। পরবর্তীতে তিনি বিদেশে পাড়ি জমান।

সময় জার্নাল/আরইউ


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল