নিজস্ব প্রতিবেদক। চিড়িয়াখানায় রক্ষিত প্রাণীগুলো কী কারণে মারা গেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। মন্ত্রী বলেন, কারণ অনুসন্ধানে আলাদা তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া নতুন করে রংপুর ও ঢাকা চিড়িয়াখানায় অস্থায়ীভাবে জনবল বাড়ানো হবে বলেও জানান তিনি।
সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানা আকস্মিক পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের বিনোদনের একটি অন্যতম বড় কেন্দ্র হচ্ছে জাতীয় চিড়িয়াখানা। এটিকে আরও আধুনিক ও যুগোপযোগী করতে কাজ শুরু হয়েছে। আগামী মার্চের মধ্যে আধুনিক চিড়িয়াখানার পরিকল্পনা তৈরি হবে।
মন্ত্রী বলেন, আগে চিড়িয়াখানার ভিতরের পরিবেশ অনেক খারাপ ছিল। একটু বৃষ্টিতে চারদিকে জলাবদ্ধতা ও কাদা হলেও বর্তমানে দর্শনার্থীদের জন্য উপযোগী করে তোলা হয়েছে। সম্প্রতি জাতীয় চিড়িয়াখানায় দুটি জেব্রার বাচ্চা, একটি জিরাফ, একটি আফ্রিকান সিংহ ও রংপুর চিড়িয়াখানায় একটি প্রাণী মারা গেছে। প্রাথমিকভাবে যাচাই-বাছাইয়ে ব্যাকটেরিয়ার কারণে এসব প্রাণী মারা গেছে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রাণীগুলো মারা যাওয়ার প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখতে এরই মধ্যে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আরও একটি কমিটি গঠন করা হবে।
তিনি বলেন, চিড়িয়াখানায় দায়িত্বরতদের অবহেলা বা অমনোযোগীতার কারণে প্রাণীগুলো মারা গেছে কি না সেসব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তে কারও কোনো অনিয়ম পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, চিড়িয়াখানায় স্বাভাবিক পরিস্থিতি কেমন থাকে সেটি দেখতে আমরা আকস্মিক পরিদর্শনে এসেছি। এখানে যেসব কর্মকর্তা, চিকিৎসক, কর্মচারী ও সুপারভাইজার আছেন তারা ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করছেন কি না, সঠিক সময়ে তারা উপস্থিত হচ্ছেন কি না, রক্ষিত প্রাণীগুলোর নিয়মিত পরিচর্যা হচ্ছে কি না, পরিবেশ ও প্রাণীখাদ্য পর্যাপ্ত ও সঠিক টাইমে দেওয়া হচ্ছে কি না- এসব বিষয় দেখতে আকস্মিক পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, পরিদর্শনে যেসব সমস্যা চিহ্নিত করা হয়েছে সে বিষয়ে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষকে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যেসব জায়গায় ত্রুটি পাওয়া গেছে সেসব সমস্যা সমাধানের জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। চিড়িয়াখানায় কিছুটা জনবল সংকট রয়েছে। সে কারণে আপাতত অস্থায়ীভাবে জনবল নিয়োগ দে্য়ার হবে।
এর আগে মন্ত্রী মৃত প্রাণীগুলোর খাঁচাসহ অন্যান্য প্রাণীর খাঁচা ঘুরে ঘুরে দেখে এবং খোঁজখবর নেন। যেসব প্রাণী মারা গেছে, অসুস্থ অবস্থায় সেগুলোকে কী ধরনের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে সেসব বিষয়ে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চান তিনি।
এ সময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জাতীয় চিড়িয়াখানার কিউরেটর আব্দুল লতিফসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সময় জার্নাল/আরইউ