মোহাম্মদ মুরাদ হোসেন:
দীর্ঘদিন অব্যবহৃত ও পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হলের (সংক্ষেপে জিয়া হল) শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বড় দুই গণরুম।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পূর্বে গণরুম ২টির মধ্যে ১টি তৎকালীন দ্বিতীয় তলার 'কাচ-রুম' ছিল সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী'র এবং অন্যটি নিচতলার 'টিভি রুম' ছিল হুইপ ইকবালুর রহিম প্যানেলের রুম হিসেবে ব্যবহৃত হতো। সর্বশেষ ২০১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা এই গণরুমগুলোতে অবস্থান করেছে এবং ২০২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের নিয়মিত যাতায়াত ছিল।
পূর্বে নবীন শিক্ষার্থীদের এই গণরুমে থাকার ব্যবস্থা করা হতো। তবে করোনা পরবর্তী সময়ে গণরুম প্রথা বিলুপ্ত করা হলে দীর্ঘদিন যাবৎ পড়ে রয়েছে গণরুম দুইটি। ফলে তথাকথিত গণরুমের সংস্কৃতি থেকেও বেরিয়ে এসেছে হল টি।
পরে অব্যবহৃত এই গণরুমগুলোর টিভি রুম কে রিডিং রুম-২ এবং কাচ-রুমকে ব্যায়ামাগার ও খেলাধুলার রুম হিসেবে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয় তৎকালীন হল প্রশাসন। তবে বিভিন্ন সমস্যা ও জটিলতার কারনে সে কাজ বাস্তবায়িত হয়নি।
বর্তমানে গণরুম ২ টির ভগ্নদশা লক্ষ্য করা গেছে। জানালা, দরজা, কাচ দেয়ালের পাশাপাশি বৈদুতিক সংযোগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
হলটিতে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে হলটির গণরুম গুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় পরে আছে। গণরুম গুলো পর্দা বা প্লাইউড দিয়ে আলাদা আলাদা কক্ষ করে জুনিয়র ব্যাচ এর শিক্ষার্থীদের ধারাবাহিকভাবে উঠার ব্যবস্থা করে দেয়া যেতে পারে। এতে করে দরিদ্র ও অস্বচ্চল শিক্ষার্থীরা হলে উঠার সুযোগ পাবে বলে মনে করি। অথবা শিক্ষার্থীদের জন্য দ্বিতীয় রিডিং রুম বা শরীরচর্চার জন্য জিমনেসিয়াম এর যাবতীয় সরঞ্জামের ব্যবস্থা করে দেয়া যেতে পারে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন- হাবিপ্রবির আহ্বায়ক তোফাজ্জল হোসেন তপু বলেন, এ বিষয়ে হল সুপার স্যারের সাথে আলোচনা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে নিচতলার গণরুমটি রিডিং রুম করা হবে। আর দ্বিতীয় তলার গণরুম নিয়ে পরবর্তীতে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।