আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইসরায়েল এবং ইরানের মধ্যে সংঘাতের জেরে বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়ে গেছে। এই সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মিত্র দেশ ইসরায়েলের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রও ইরানে হামলা চালিয়েছে। ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
যুক্তরাষ্ট্র ইরানে হামলা চালানোর পর সপ্তাহের প্রথম লেনদেনের দিনে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম বাড়তে দেখা গেছে।
বিশ্ববাজারে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্রেন্ট ক্রুড অয়েল অর্থাৎ অপরিশোধিত তেলের দাম শুরুর দিকে তিন শতাংশের বেশি বেড়ে ব্যারেল প্রতি ৭৯ ডলারের ওপরে উঠেছে।
মার্কিন হামলার পর থেকেই ধারণা করা হচ্ছিল যে, তেল সরবরাহে বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কায় বাজারে তেলের দাম বাড়বে।এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর বিশ্ব বাণিজ্যের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রুট হরমুজ প্রণালি বন্ধের পক্ষে ভোট দিয়েছে ইরানের পার্লামেন্ট। তবে এই সিদ্ধান্ত এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদকে।
৩৫ থেকে ৬০ মাইল (৫৫ থেকে ৯৫ কিলোমিটার) প্রশস্ত হরমুজ প্রণালি পারস্য উপসাগর ও আরব সাগরকে সংযুক্ত করেছে। এই রুট দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ২ কোটি ব্যারেল তেল ও তেলজাত পণ্য পরিবহন করে বিশ্ব শিপিং সংস্থাগুলো, যা বিশ্বব্যাপী তেল সরবরাহের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ।
ইরানের দক্ষিণে অবস্থিত এই জলপথটি বিশ্বের জীবাশ্ম জ্বালানি সরবরাহের জন্য একটি সংকীর্ণ বাধাবিন্দু, যার মধ্য দিয়ে বিশ্বব্যাপী তেল সরবরাহের ২০ শতাংশ এবং তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) ২০ শতাংশ প্রবাহিত হয়। হরমুজ প্রণালিকে ঘিরে থাকা প্রধান দেশগুলো হলো ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ওমান। এই দেশগুলোই হরমুজ প্রণালি নিয়ন্ত্রণ এবং পরিচালনা করে।
ইরান যদি হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দেয় তবে বিশ্বব্যাপী তেল সরবরাহের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সময় বেশি ব্যয় হতে পারে এবং এর তাৎক্ষণিক প্রভাব পড়বে তেলের দামের ওপর। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য যেসব দেশ উপসাগরীয় দেশগুলো থেকে তেল আমদানির ওপর নির্ভরশীল তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ফলে বিশ্বজুড়ে তেলের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে।
এমআই