এম.পলাশ শরীফ, বাগেরহাট প্রতিনিধি:
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বলইবুনিয়া ইউনিয়নের কুয়ারদাহ-নেহালপুর গ্রামে ৩শ’ বিঘা ফসলী জমিতে জোরপূর্বক মৎস্য ঘের করছেন এলাকার প্রভাবশালী একটি মহল। প্রতিবাদে বিক্ষোভ মানববন্ধন করেছে ভূক্তভোগী জমির মালিকেরা। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অর্ধশত গ্রামবাসী গণস্বাক্ষরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় কুয়ারদা-নেহালপুর গ্রামে গ্রামবাসীদের আয়োজনে এ মানববন্ধনে সাধারণ কৃষক ও ভূক্তভোগী ৩ শতাধিক জমির মালিক নারী পরুষ অংশ নেয়।
মানববন্ধনে ভূক্তভোগী জমির মালিকেরা অভিযোগ করে বলেন, দেশ স্বাধীনের পূর্ব থেকেই বাপদাদার পৈত্রিক সম্পত্তি কুয়ারদাহ-নেখালপুর গ্রামে ৩শ’ বিঘার এ ফসলী মাঠে কখনও মৎস্য ঘের হয়নি। এ বছর প্রভাবশালী সাদিক শিকদারের নেতৃত্বে আসলাম শেখ, কামরুজ্জামান মুকুলসহ একটি মহল প্রভাব খাটিয়ে সাধারণ কৃষক জমির মালিকদের ভয়ভীতি হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক মৎস্য ঘের করার পায়তারা করছে। মাটি কেটে ভেঁরি দিয়েছে। পানি চলাচলের ছোট ছোট খালের মুখ বন্ধ করে দিয়েছে যে কারণে ফসলী মাঠে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে পড়েছে। এ গ্রামের প্রায় ৪ শতাধিক কৃষক আমন বোরো মৌসুম সহ রবিশষ্য উৎপাদন করে জীবিকা নির্বাহ করে। প্রতিটি পরিবারের এ মাঠে ৩/৪ বিঘা, ৫০ বিঘাও জমি রয়েছে। অনেকে খাল ও নালায় মাছ ধরে সংসার চালায়। মৎস্য ঘের করে ফসল উৎপান ব্যহত করার পায়তারা করছে প্রভাবশালী মহলটি।
সাধারণ কৃষকরা তাদের জমিতে শান্তিপ্রিয়ভাবে ফসল উৎপাদন করতে পারে সে জন্য উর্দ্ধতন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
মানববন্ধনে এ সময় বক্তৃতা দেন আবুয়াল সরদার, মোশারেফ মাতুব্বর, জালাল উদ্দিন, নেছার মাতুব্বর রজ্জব আলী শেখ, মোসা. রাবেয়া বেগম, দুলাল খান, খলিলুর রহমান সহ একাদিক কৃষকরা।
এ বিষয়ে সাদিক শিকদার বলেন, তিনি শতাধিক জমির মালিকের লিখিত অনুমতি নিয়েই মৎস্য ঘের করছেন। তবে, জোরপূর্বক নয়, ওই মাঠে তার ১০ বিঘাসহ তাদের বংসের ৫০ বিঘা জমি রয়েছে। ২/৩ জন ব্যক্তিকে ঘেরে শেয়ার না রাখার কারনে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
এ সর্ম্পকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাবিবুল্লাহ বলেন, কুয়ারদাহ-নেখালপুর গ্রামের জমি মালিকদের একটি লিখিত অভিযোগের পেক্ষিতে উভয় পক্ষকে ডাকা হয়েছে। বিষয়টি তার দপ্তরে সমাধানের পর্যায়ে থাকলে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।
এমআই