মোহাম্মদ মুরাদ হোসেন, হাবিপ্রবি প্রতিনিধি:
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রভাব পড়ে ২০১৮ সালে। জাতীয়ভাবে এই আন্দোলন ঢাবির “বাংলা মঞ্চ” থেকে শুরু হলেও সারাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর শিক্ষার্থীরা এতে একাত্মতা প্রকাশ করে, যার মধ্যে হাবিপ্রবি অন্যতম।
৪ এপ্রিল ২০১৮: কোটা সংস্কার আন্দোলনের "কোটা সংস্কার সপ্তাহ" এর কর্মসূচি হিসেবে কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম ও ইয়ামিনের উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেমের সাথে মতবিনিময় এবং বিভিন্ন ক্লাস রুমে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির করা হয়।
৫ এপ্রিল ২০১৮: ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। এই খবরে হাবিপ্রবিতে সচেতন ছাত্ররা আলোচনা শুরু করেন এবং ফেসবুকে সংগঠিত হতে থাকেন।
৮ এপ্রিল ২০১৮: ঢাবিতে পুলিশি হামলার পর সারাদেশে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। হাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মানববন্ধন ও মৌন অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।
৯ এপ্রিল ২০১৮: হাবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীরা “সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ, হাবিপ্রবি” ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল করে। প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেয়া, ক্লাস বর্জন। পাঁচ দফা দাবির প্রতি সংহতি জানানো হয়।
১০ এপ্রিল ২০১৮: শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে পুরোদিন প্রতিবাদ করে। টুকিটাকি সংঘর্ষ ও উত্তেজনার খবর পাওয়া যায়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানায়।
১১ এপ্রিল ২০১৮: বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয় ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত এবং শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে।
১২ এপ্রিল ২০১৮: বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে শহরে মানববন্ধন ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি চালিয়ে যান।
১৭ এপ্রিল ২০১৮: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন।হাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা আনন্দ মিছিল করে এবং কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করে।
আন্দোলনের দাবি ছিল:
১. কোটার সংখ্যা যৌক্তিক হারে হ্রাস।
২. মেধাভিত্তিক নিয়োগ নিশ্চিত করা।
৩. কোটার আওতায় কেউ নিয়োগ না পেলে, সেই শূন্য পদে মেধায় নিয়োগ।
৪. একই ব্যক্তি যেন একাধিকবার কোটা সুবিধা না পান।
৫. বিশেষ কোটায় অযোগ্য কেউ যেন সুযোগ না পান।
একে