এম.পলাশ শরীফ, বাগেরহাট প্রতিনিধি:
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের জমি দখলের উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়ে গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (৬ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে হোগলাবুনিয়া গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় শিক্ষক আব্দুল বারি বাদী হয়ে মহারাজ খানসহ চারজনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার হোগলাবুনিয়া ইউনিয়নের হোগলাবুনিয়া গ্রামের নেছারিয়া আজহারিয়া নূরানিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুল বারি (৭২) পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত জমির একটি অংশ দখলের উদ্দেশ্যে একই গ্রামের মহারাজ খানের নেতৃত্বে ৩০-৪০ জন ভাড়াটে লোকজন নিয়ে তার জমির ঘেরা বেড়া কেটে দেয় এবং সিরিস গাছের ডালপালা কর্তন করে। বাধা দিলে শিক্ষক ও তার পরিবারের সদস্যদের ভয়ভীতি দেখিয়ে জমি থেকে জোরপূর্বক সরিয়ে দেওয়া হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষক আব্দুল বারি জানান, “আমার দাদা ও পিতা থেকে পাওয়া ৬৪ শতক জমিতে আমরা ৭০ বছর ধরে ভোগদখল করে আসছি। এর মধ্যে ১৭ শতক জমি নিয়ে মহারাজ খানের সঙ্গে বিরোধ রয়েছে। বিষয়টি আদালতেও বিচারাধীন। আজ সকালে হঠাৎ পরিকল্পিতভাবে তারা লোকজন নিয়ে এসে ঘেরাবেড়া কেটে সিরিস গাছের ডালপালা কেটে ফেলে। এমনকি ইট-খোয়া এনে জমিতে রেখে দিয়েছে, যেন দখল করে ঘর নির্মাণ শুরু করতে পারে।”
শিক্ষকের স্ত্রী রাফেজা আক্তার বলেন, “পরিবার নিয়ে চরম আতঙ্কে আছি। আমরা আইন ও প্রশাসনের আশ্রয় চাই।”
অভিযুক্ত মহারাজ খান এ বিষয়ে বলেন, “আমি কারও জমি জোরপূর্বক দখল করিনি। আমার ক্রয়কৃত ২১ শতক ও পৈত্রিক ২১ শতক, মোট ৪২ শতক জমিতে ঘর নির্মাণের জন্য ইট-খোয়া তোলা হয়েছে। শিক্ষক আব্দুল বারি ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন।”
মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতলুবর রহমান বলেন, “হোগলাবুনিয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের প্রেক্ষিতে সংর্ঘষের আশঙ্কায় পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমঝোতার চেষ্টা চলছে, উভয় পক্ষই সময় নিয়েছেন।”
একে