এম.পলাশ শরীফ, বাগেরহাট:
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে নিখোঁজের এক দিন পরে সঞ্জয় কর্মকার (৩৮) নামের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার বিকেল ৫টায় উপজেলার খাউলিয়া ইউনিয়নের সন্ন্যাসী গ্রামে। নিহত ব্যবসায়ীর পরিবারের দাবি স্ত্রীর মানষিক চাপে আত্মহত্যা করেছে সঞ্চয়।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার খাউলিয়া ইউনিয়নের খেজুর বাড়িয়া গ্রামের মৃত. নারায়ন কর্মকারের ছেলে সঞ্চয় কর্মকার শনিবার ভোর ৫টার দিকে বড় ভাইয়ের ভাড়াটিয়া সন্ন্যাসী বাসা থেকে ঘুম থেকে জেগে তাকে আর খুজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরবর্তীতে তাকে অনেক খোঁজাখুজি করে না পেয়ে রবিবার বেলা ৩টার দিকে বড় ভাই নরেশ কর্মকার মোরেলগঞ্জ থানায় একটি নিখোঁজে অভিযোগ দায়ের হওয়ার ২ ঘন্টা পরে একটি বাগান বাড়ির সিরিজ গাছের সাথে ওই ব্যবসায়ী গলায় ফাস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে স্থানীয় লোকজন ও স্বজনরা থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে। নিহত সঞ্জয় কর্মকার বানিয়াখালী বাজারে স্বর্ণ ব্যবসা করতেন।
নিহতের বড় ভাই নরেশ কর্মকার ও তার বোন ঝুমুর কর্মকার জানান, গত ৫ মাস পূর্বে তার ছোট ভাই সঞ্জয় কর্মকার ইন্দুরকানি থানার কালাইয়া গ্রামের শিশির ডাকুয়ার মেয়ে সুষমিতা রানীকে বিবাহ করেন। বিবাহের এক মাস পরে তার স্ত্রী স্বামীকে ফেলে রেখে পিতার বাড়িতে চলে যায়। এর পর থেকে স্বামীর সাথে তার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রেখে তাকে মামলার ভয়সহ মানষিক চাপ দিতে থাকে। যে কারনে সঞ্জয় মানষিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে এ আত্মহত্যা করেছে। তারা এ ঘটনার তদন্ত পূর্বক বিচারের দাবি জানান।
এ বিষয়ে থানা ওসি মতলুবর রহমান বলেন, নিহত সঞ্জয় কর্মকারের নিখোঁজের বিষয়ে তার বড় ভাই রবিবার দুপুরে একটি অভিযোগ দায়ের করে অভিযোগে বলা হয়েছে সে একজন মানষিক প্রতিবন্ধী। ঘটনাস্থল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট মর্গে প্রেরণ করা হবে বলে এ কর্মকর্তা জানান।
একে