ইসাহাক আলী, নাটোর প্রতিনিধি:
নাটোরে মধ্যযুগীয় কায়দায় মরিচ গুঁড়া মিশ্রিত গরম পানি দিয়ে দুই নারীকে ঝলসে দেয়ার ঘটনায় সেনাসদস্যরা অভিযুক্ত ছয়জনকে গ্রেফতার করার পর সেনা প্রধানের নির্দেশে গুরুতর আহত শাহনাজ বেগমকে মঙ্গলবার বগুড়া সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নিয়ে গেছে সেনা সদস্যরা।
সেনা সূত্র জানায়, নাটোর সদর উপজেলার কাফুরিয়া ইউনিয়নের মোহনপুর গ্রামে মধ্যযুগীয় কায়দার এই নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রোববার নাটোর সদরের রামনগর গ্রামের তৌহিদ উদ্দিনের ছেলে মোঃ সুলতান ডাকাত, তার ছেলে মোঃ লালচান, তার স্ত্রী মোছাঃ আয়মনা, একই এলাকার মোহনপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে মোঃ সাইফুল ইসলাম, তার স্ত্রী মোছাঃ শীলা খাতুন ও একই এলাকার পন্ডিতগ্রামের রতন মিয়ার স্ত্রী মোছাঃ শাকিদাকে গ্রেফতার করে নাটোর থানায় হস্তান্তর করে সেনাবাহিনী। এর আগে গত ২৬ জুন সন্ধ্যায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মোহনপুর গ্রামের হালিমা খাতুন ও শাহনাজ বেগম নামের মধ্য বয়সী দুই নারীকে গরম পানির সাথে মরিচের গুঁড়ার মিশিয়ে ঝলসে দেওয়া হয়।
এ সময় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাদের মাথায় আঘাত করে গুরুতরভাবে আহতও করা হয়। এর মধ্যে শাহনাজ বেগমের অবস্থা বেশি গুরুতর হওয়ায় এবং তার পরিবার আর চিকিৎসা ব্যয় বহন করতে না পারায় সেনা প্রধান ওয়াকারুজ্জামানের নিদের্শে নাটোর ক্যাম্পের সদস্যরা
বিনা খরচে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বগুড়া সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নিয়ে গেছেন। প্রয়োজনে তাকে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হতে পারে বলেও জানান তারা।