তালুকদার হাম্মাদ, ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ’র নিয়োগের এক বছর পূর্ণ হওয়ায় তার কৃতিত্ব যাচাইয়ে ১০টি বিষয়ের উপর জরিপ চালিয়েছে ইবি সংস্কার আন্দোলন। এতে ১০ নম্বরের মধ্যে গড়ে ২.৪৫ পেয়ে অকৃতকার্য হয়েছেন উপাচার্য। অনলাইন ও অফলাইনে পরিচালিত এই জরিপে অংশ নিয়েছেন ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত মোট ১৩১২ জন শিক্ষার্থী ।
সোমবার (২৩ সেপ্টম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে ডায়না চত্বরে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জরিপের এ তথ্য প্রকাশ করেন প্লাটফর্মটি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংস্কার আন্দোলনের সদস্য খন্দকার আবু সাঈম, ত্বকী ওয়াসিফ, আবদুল্লাহ আল রাহাত, রাউফুল্লাহ খান, নওশীন শারমিলি, উম্মে হাবিবা সিগমা সহ প্লাটফর্মটির অন্য সদস্যরা।
জরিপে তাদের মূল্যায়নের বিষয়গুলো হলো- সেশনজট নিরসনে তদারকি, শিক্ষক সংকট নিরসন, সাজিদ আব্দুল্লাহ হত্যার বিচার, ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা, ছাত্র সংসদ (ইকসু) গঠন, আধুনিকীকরণ তথা অনলাইন ব্যাংকিং, ল্যাব, সনদ উত্তোলন ও ওয়েবসাইটের আধুনিকায়ন, আবাসিক হলের খাবারের মান বৃদ্ধি ও মানসম্মত পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত, গবেষণা খাতে বাজেট বৃদ্ধি ও সমৃদ্ধ করণ, মেডিকেল সেন্টারের সেবার মান, মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত, নারী শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তা, বিভাগগুলোতে ছাত্রী কমনরুম নিশ্চিত ও নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতে, পরিবহন সংকট নিরসনে পর্যাপ্ত বাস বরাদ্দ, ফিটনেসবিহীন বাস অপসারণ, দক্ষ চালক নিয়োগ ও পরিবহন ব্যবস্থাপনা নিয়ে উপাচার্যের ভূমিকা।
সংবাদ সম্মেলনে আবদুল্লাহ আল রাহাত বলেন, জুলাইয়ের পরে আমরা আশায় বুক বেঁধেছিলাম এই বিল্পবী প্রশাসন শিক্ষার্থীদের আকাক্সক্ষা পূরণ করবে এবং তাদের মাঝে আমরা প্রতিফলন দেখতে পাবো। বিগত এক বছরের উপাচার্যের আশ্বাস ছাড়া কিছুই পাইনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠন উপাচার্যকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দাবি জানিয়ে এসেছে সেগুলোর বাস্তবায়ন প্রশ্নবিদ্ধ। আমরা অনলাইন ও অফলাইনে জরিপ চালিয়েছি। শিক্ষার্থীদের কাছে ১০টি বিষয়ের উপর মূল্যায়ন জানতে চেয়েছি। সেক্ষেত্রে ক্যাটাগরি অনুযায়ী আমরা বলতে পারি উপাচার্য অকৃতকার্য হয়েছে। তার ক্যাটাগরি খুবই খারাপ। অনেক শিক্ষার্থীই আমাদের বলেছে নেগেটিভ মার্কিং কেন রাখা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, আমরা অনলাইনে ৪০০ শিক্ষার্থীর মতামত সহ মন্তব্য পেয়েছি। সেখানকার দুই-তৃতীয়াংশ মন্তব্য নেতিবাচক এবং উপাচার্যের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। আমরা সেগুলো পর্যায়ক্রমে প্রকাশ করবো। আমাদের এই প্রাথমিক জরিপ করেছি। আরো বিষদভাবে আমরা জরিপ পরিচালনা করবো।
উল্লেখ্য, সংবাদ সম্মেলনের শেষে পরদিন ( বুধবার) ভিসিকে হলুদ কার্ড দেখানো কর্মসূচি ঘোষণা করেছে প্লাটফর্মটি।
এমআই