মো. জাহিদুল হক, চবি প্রতিনিধি:
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের(চবি) আইন অনুষদ ও এ.কে. খান ফাউন্ডেশনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে '৬ষ্ঠ এ.কে. খান ল মেমরিয়াল লেকচার'।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের অডিটোরিয়ামে বেলা সাড়ে ১০টার দিকে শুরু হয় এ অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল ফারুকের সভাপতিত্বে মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্যের পোর্টস্মাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ল স্কুলের চেয়ার অধ্যাপক ড. এ. এফ. এম. মনিরুজ্জামান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের, বিশেষ অতিথি উপ উপাচার্য (প্রশাসনিক) অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী, উপ উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক বেনু কুমার দে, ও একে খান ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি এএম জিয়াউদ্দীন খান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শাহীন চৌধুরী।
অধ্যাপক ড. শাহীন চৌধুরী তার স্বাগত বক্তব্যে এ. কে. খানের জীবনী উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আবুল কাসেম খান ছিলেন একজন অগ্রগামী পূর্ব বাঙালি শিল্পপতি, নির্ভীক বিচারক, দূরদর্শী রাজনীতিবিদ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে একজন গুরুত্বপূর্ণ অংশগ্রহণকারী এবং তিনি এ.কে. খান ফাউন্ডেশন দাঁড় করিয়েছিলেন শুধুমাত্র স্বাস্থ্য ও শিক্ষার সুবিধার জন্য।
প্রফেসর ড. এ. এফ. এম. মনিরুজ্জামান বলেন, আইন সংস্কার একটি অপরিহার্য প্রক্রিয়া যা আইনের প্রাসঙ্গিকতা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করে আইনের প্রতি জনগণের বিশ্বাস ও আস্থা বজায় রাখে। এটি পুরানো এবং অপ্রয়োজনীয় আইনগুলিকে সরিয়ে দিয়ে নতুন আইন তৈরি করে সামাজিক প্রয়োজনীয়তা মেটায়। সিভিল ল ব্যবস্থা এবং কমন ল ব্যবস্থা উভয় ক্ষেত্রে বিভিন্ন উপায়ে আইনের সংস্কার হয়ে থাকে। সেগুলোর নিরিখে বাংলাদেশের আইনের সংস্কারের কাজ অনেকটুকু এগিয়েছে, কিন্তু আইন কমিশনের প্রতিবেদনগুলোর বাস্তবায়নের উপর আরও বেশি জোর দেওয়া প্রয়োজন। আইন সংস্কারের ক্ষেত্রে দেশিয় প্রেক্ষাপটের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আইন এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
উপ উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক বেনু কুমার দে বলেন, বিশেষ অথিতি হিসেবে এখানে উপস্থিত হওয়া আমার জন্য অত্যন্ত সৌভাগ্যের। আজকের সেমিনারের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শান্তিপূর্ণভাবে জীবন যাপনের জন্য আইন বড় একটি ভূমিকা রাখে। কিন্তু পৃথিবীতে কোনো আইন আর নিয়মই নিখুত নয়। সবকিছুরই সীমাবদ্ধতা আছে। আমরা এখন ৪র্থ বিপ্লবের যুগে আছি। আগামীর দিনে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি পৃথিবীতে রাজত্ব করবে। আমরা যদি এর উপর আধিপত্য বিস্তার না করতে পারি তাহলে এই মানব সভ্যতা ধ্বংস হয়ে যাবে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, এ.কে. খান ল মেমোরিয়াল আমাদের চিন্তা-প্ররোচনামূলক আলোচনায় যুক্ত হওয়ার, আইনের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে শোনার এবং ধারণা বিনিময় করার সুযোগ দেয় যা আমাদের আইনি কাঠামোর ব্যবধানগুলি সনাক্ত করতে এবং সেগুলিকে ঢালাই করার উপায়গুলি সনাক্ত করতে সাহায্য করতে পারে। এছাড়াও তিনি অপ্রয়োজনীয় আইন সরিয়ে সময়োপযোগী আইন প্রনয়ণ এবং একইসাথে আইনের কঠোর বাস্তবায়নের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
এমআই